শিরদাঁড়া
যেদিন দেখেছিলাম তোমায় তাকিয়ে,
ব্যারিকেডের ওই পারে,
জানি বিধাতা হেসে ফেলেছিল
তোমার বেয়নেটের ধারে।
সৈন্যদল এসে রাঙিয়েছিল চোখ,
আর করেছিল পদাঘাত।
বিপ্লব ফেটে পড়েছিল হাসিতে;
মুঠো হয়েছিল সব হাত।
ক্ষীণ ও রক্তাক্ত দৃষ্টির আড়াল থেকে,
জানতাম, তাকাবেনা তুমি।
কেভলার হেলমেট অন্ধ করেছে তোমায়;
দেখতে পাবেনা ভন্ডামি।
তাদের শান্তিচুক্তি এক তীব্র বিদ্রূপ,
ভেবেও দেখোনি তো হায়!
তবে, বিপ্লব করে না তারা, যাদের
মৃত্যুভয় কাঁপুনি ধরায়।
মধুচন্দ্রিমার মিথ্যে স্বপ্ন দেখো,
আর আমাদের হত ভাগ্য।
দেখনি যে হায় চন্দ্রপৃষ্ঠে, মোদের
অমাবস্যার রক্ত কাব্য।
ধর্ম, বর্ণ, জাতি, পার্টিশান নীতি,
তা টেকেনি যে কোথাও!
জনতার প্রতিবাদ, শাবল, কলম, হাত
চালিয়ে করবে ফলাও।
তোমার প্রভু বসে যেই মসনদে,
প্রহরীদল হাঁটছে যেথায়,
ভেঙে দেখো তার প্রতিটি দেওয়াল,
ইনকিলাব লিখেছি সেথায়।
পদ্মাসনেতে তারা নিদ্রায় মগ্ন;
শোনেনি জন আর্তনাদ।
পদতলে বিপ্লবী তুণীর, বোনে
চিরনিদ্রার এক ভীষণ ফাঁদ।
এতদুরে এসে দেখে শুনে সব
যদি করো তাহাদের স্তব,
কাঁটাতারের এপারে বা ওপারে
দেখা হবে, মোর অনুভব।
যদি কোনোদিন দেখা হয় আমাদের,
গোনা যায় আকাশের তারা,
মনে রেখো, মাথা কেটে নিলেও
সোজা থেকে যায় শিরদাঁড়া।